Tuesday, July 7, 2020

লাদাখের বিভিন্ন স্থান থেকেও পিছাচ্ছে ভারত–চীন



শুধু গলওয়ান উপত্যকাই নয়, চীন ও ভারত মুখোমুখি অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লাদাখের অন্যত্রও। দুই দিনের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শেষ হবে। ভারতের সরকারি ও সামরিক সূত্রে পাওয়া এই খবর বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা আজ মঙ্গলবার প্রচার করেছে। দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনার পর গতকাল সোমবার থেকে উত্তেজনা প্রশমনের এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

গলওয়ান উপত্যকা থেকে সোমবার চীন প্রায় দুই কিলোমিটার পিছিয়ে যায়। ভারতও পিছিয়ে এসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একটা ‘বাফার জোন’ তৈরিতে সহায়তা করে। গত ১৫ জুন যেখানে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছিল, সেই ১৪ নম্বর প্যাট্রলিং পয়েন্ট (পিপি) থেকে চীনা সৈন্যদের অবকাঠামো ভেঙে চলে যেতে দেখা গেছে। সেনা সূত্র এই খবর দিয়ে জানিয়েছে, আজ সকালে পিপি ১৪ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে গোগরা ও হট স্প্রিংয়েও চীনা ফৌজ প্রায় দুই কিলোমিটার পিছিয়ে যায়। লাল ফৌজের সাঁজোয়া গাড়িবহরকেও চলে যেতে দেখা গেছে। দুই দেশের সমঝোতা অনুযায়ী ভারতীয় বাহিনীও পিপি ১৪ সহ বিতর্কিত এলাকায় টহলদারি থেকে বিরত থাকছে।

তবে সমঝোতা সত্ত্বেও প্যাংগং লেক থেকে চীন এখনো সরেনি। সরকারি সূত্র মনে করছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝি চীন সব কটা জায়গা থেকেই সরে যাবে। তারপর দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের কর্তারা আরও একবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন।

সেনা সরানোর মধ্য দিয়ে উত্তেজনা প্রশমিত হলেও ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তার উপস্থিতি শিথিল করতে রাজি নয়। এক সরকারি সূত্র এই বিষয়ে আজ প্রথম আলোকে জানায়, কারগিলে টহলদারিতে ঢিলেমি দিয়ে যে ভুল করা হয়েছিল, লাদাখে তা হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাদাখ সফরে সেনাকর্তাদের বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। বাহিনীকে বলা হয়েছে, কোথাও কোনো ঢিলেমি নয়। কাউকে বিশ্বাসের প্রশ্নই ওঠে না।

এই কারণেই সুখোই-৩০ ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি লাদাখে মার্কিন যুদ্ধ চপার অ্যাপাচে-৬৪ মোতায়েন করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক এই যুদ্ধ চপার একসঙ্গে ১২টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। পূর্বতন মনমোহন সিং সরকার ২০১০ সালে মোট ২২টি অ্যাপাচে-৬৪ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত বছর চলে আসে ১৭টি। শেষ ৫টি ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে পাঞ্জাবের পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে।

ভারতের মানুষের মধ্যে চীনা বিরোধিতা দিন দিন বাড়ছে। চীনা পণ্য বয়কট করার তীব্রতাও বেড়ে চলেছে। পাঞ্জাবের অন্যতম বৃহত্তম সাইকেল প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘হিরো সাইকেলস’ এই অবস্থায় চীনের সঙ্গে ৯০০ কোটি রুপির চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে। সংস্থার চেয়ারম্যান পঙ্কজ মুঞ্জল এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেছেন, তাঁরা জার্মানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা ভাবছেন।

চীনের ওপর ক্ষুব্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। ভারত সরকার ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার কয়েক দিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রও বেশ কয়েকটি চীনা সামাজিক অ্যাপ নিষিদ্ধ করতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফক্স নিউজ’ চ্যানেলকে এই কথা জানিয়েছেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

www.prothomalo.com


গ্যাসের আগুনে পুড়ল গোটা সংসার


প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের নান্দাইলের বাসিন্দা আবুল কাশেম ও ফাতেমা বেগম। কাজ করেন ঢাকার সাভারের আশুলিয়া এলাকার পোশাক কারখানায়। সেখানেই বাসাভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল ১০ বছরের ছেলে আল আমীন। কিন্তু তাঁদের সাজানো সংসার তছনছ হয়ে গেছে একনিমেষেই। গ্যাসের লাইন লিকেজের কারণে অগ্নিকাণ্ডে তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন।

গত সোমবার এ ঘটনার পর কাশেম ও আল আমীন মারা যান। আর গুরুতর আহত ফাতেমা আজ মঙ্গলবার বিকেলে মারা যান। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটিকে বাড়ির তত্ত্বাবধায়কের অবহেলা ও অবৈধ গ্যাসের সংযোগে লিকেজের কারণে ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁরা ঘটনার তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের দাবি করেছেন। তবে ঘটনার দুই দিন পার হলেও পুলিশ কোনো খোঁজ নেয়নি।

পরিবারের সদস্যরা বলেন, ফাতেমারা আশুলিয়া থানার আশুলিয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর চালা গ্রামের শহীদ হাজির (বাড়িটি হাজিবাড়ি নামে পরিচিত) বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গতকাল সোমবার ভোরে ফাতেমা রান্নার আয়োজন করেন। তখন তাঁর স্বামী ও সন্তান ঘুমিয়েছিলেন। যাবতীয় আয়োজন শেষ করে ফাতেমা দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানো মাত্রই বিকট শব্দ করে পুরো কক্ষে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলেই আল আমীন মারা যান। বাকি দুজন গুরুতরভাবে দগ্ধ হন। বিকট শব্দ শুনে স্থানীয়রা এসে অগ্নিদগ্ধ আবুল কাশেম ও ফাতেমাকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে নেওয়ার পথে কাশেমের মৃত্যু হয়। ফাতেমাকে এনাম মেডিকেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবারের পক্ষে অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় স্বজনেরা তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসেন। আজ বিকেলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় তিনি মারা যান। তাঁর লাশ দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার চণ্ডীপাশা মহল্লায় আবুল কাশেম ও তাঁর ছেলে আল আমীনের দাফন গত সোমবার রাতে সম্পন্ন হয়েছে।

ফাতেমার বড় ভাই মো. আবু সাইদ বলেন, কাশেম ও ফাতেমা তাঁদের বলেছিলেন, ওই বাড়িতে গ্যাসের সংযোগ থাকলেও সেটি বৈধ ছিল না। আগে তাঁরা রান্নার কাজে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করতেন। সম্প্রতি সংযোগ দিয়ে গ্যাস আসতে শুরু করলে ফাতেমা ওই গ্যাস দিয়ে রান্নার কাজ চালাতেন। কিন্তু তিন-চার দিন ধরে গন্ধ ছড়ালে ফাতেমা বুঝতে পারেন লাইন দিয়ে গ্যাস লিকেজ হচ্ছে। বিষয়টি তিনি বাড়ির তত্ত্বাবধায়ককে (নাম বলতে পারেননি) জানান। পরে ওই তত্ত্বাবধায়ক মিস্ত্রি দিয়ে লাইন মেরামত না করে নিজেই সাবান লাগিয়ে গ্যাসের লিকেজ বন্ধ করে দিয়ে যান।

সাইদ বলেন, ‘আমাদের তিনটা লোক জ্যান্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেল। কিন্তু আশুলিয়া থানা-পুলিশ এ ঘটনায় তাদের কোনো খোঁজ নিল না। এ ঘটনায় মামলাও হলো না। আমাদের প্রাণের কি কোনো মূল্য নেই?’

এ বিষয়ে বাড়ির মালিক ও তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল হক বলেন, ঘটনাটি শুনেছেন। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

Monday, July 6, 2020

শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে ইন্টারনেট দিতে শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বান



করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বন্ধের মধ্যেও শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে অনলাইন শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন শিক্ষা শুরুও করেছে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে ইন্টারনেটের ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।

আজ সোমবার আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ-বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে শিক্ষা বিষয়ে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে এসব কথা উঠে আসে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সুবিধার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় সেমিনারে

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ দিতে মোবাইল অপারেটরগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে অথবা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

করোনা-পরবর্তী সময়েও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়ে টিউশন ফির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। একেবারে টিউশন ফি না দিলেও প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষকদের বেতন দিতে পারবে না। তাই দুই পক্ষকেই কিছুটা ছাড় দিয়ে মানবিক হতে হবে।

বিশেষ অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষার বিস্তার এবং মেধাবী জাতি তৈরিতে ইন্টারনেটকে ব্যয় নয়, এটিকে রাষ্ট্রের বড় বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে হবে। শিক্ষা বিস্তারের স্বার্থে শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ইন্টারনেট সুবিধা সহজলভ্য করতে সম্ভাব্য সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ-বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক হিসেবে আরও যুক্ত ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল, দৈনিক ভোরের কাগজ-এর সম্পাদক শ্যামল দত্ত। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা।

চিরতরে চলে গেলেন এন্ড্রু কিশোর

এন্ড্রু কিশোর । ছবি: প্রথম আলো


দীর্ঘ ১০মাস ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে হেরে গেলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

শরীরে নানা ধরনের জটিলতা নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁর শরীরে নন-হজকিন লিম্ফোমা নামক ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। সেখানে কয়েক মাস একনাগাড়ে তাঁর চিকিৎসা চলে। চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি নিজের ইচ্ছায় দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি আমার দেশে গিয়ে মরতে চাই, এখানে নয়।’
১১ জুন বিকেলে সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরেন তিনি। ফিরে যান রাজশাহীতে, যেখান থেকে শুরু। নিজের শহর রাজশাহীর মহিষবাথান এলাকায় বোনের বাড়িতে শেষ হলো তাঁর জীবনের গল্প, পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিলেন তিনি।
অবশ্য মাঝে চিকিৎসায় কিছু সাড়া মেলে। এ বছরের এপ্রিলে সেসব শেষ করে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, এখন আর দরকার নেই, শুধু ওষুধ খেতে হবে। দেশে ফিরে যেতে পারবেন এন্ড্রু কিশোর। তাঁর স্ত্রী জানান, মে মাসের ১৩ তারিখ দেশে ফেরার জন্য টিকিট কেনা হয়েছিল। কিন্তু এন্ড্রু কিশোর শারীরিকভাবে ভীষণ দুর্বল বোধ করছিলেন। তাই বাতিল করা হলো যাত্রা। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, এই দুর্বলতা কেমোর ধকল। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। চিকিৎসক আশ্বস্ত করায় ১০ জুন ফেরার টিকিট কেনা হয়। কিন্তু ২ জুন হঠাৎ আবার অসুস্থ হয়ে যান শিল্পী। পরদিন রাতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৪ জুন। কোনো ওষুধই আর কাজ করছিল না শরীরে। পিইটি স্ক্যান হয় ৯ জুন। সে রিপোর্টে দেখা গেল, লিম্ফোমা ভাইরাস ডান দিকের লিভার ও স্পাইনালে ছড়িয়ে গেছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গাতেও অল্প অল্প দেখা যাচ্ছে। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিলেন, আর কিছুই করার নেই।

বাংলা গানের এই কণ্ঠশিল্পী ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশের আধুনিক ও চলচ্চিত্রজগতের কালজয়ী অনেক গান তাঁর কণ্ঠে সমৃদ্ধ হয়েছে। সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ—সব অনুভূতির গানই তিনি গেয়েছেন। ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর তিনি রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এন্ড্রু কিশোর । ছবি: প্রথম আলোএন্ড্রু কিশোর । ছবি: প্রথম আলো

এন্ড্রু কিশোর প্রাথমিকভাবে আবদুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে সংগীতের পাঠ শুরু করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোকসংগীত, দেশাত্মবোধকসহ প্রায় সব ধারার গানে কণ্ঠ দেন রাজশাহী বেতারে তালিকাভুক্ত সংগীতশিল্পী হিসেবে। চলচ্চিত্রে এন্ড্রু কিশোর গান গাওয়া শুরু করেন ১৯৭৭ সালে। ‘মেইল ট্রেন’ ছবিতে তিনি গেয়েছিলেন ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানটি। চলচ্চিত্রে এটাই ছিল তাঁর প্রথম গান। সুরকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন আলম খান। কিন্তু এন্ড্রু কিশোর সবার কাছে পৌঁছে যান দুই বছর পর। তাঁর গানটি ছিল ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’। মনিরুজ্জামান মনিরের লেখা গানটির সুরকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন আলম খান।

দীর্ঘদিন পুরোদস্তুর পেশাদার কণ্ঠশিল্পী হিসেবে দুই বাংলায় গান করেছেন এন্ড্রু কিশোর। একের পর এক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি।

গেল বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অসুস্থ হয়ে পড়ার আগপর্যন্ত এন্ড্রু কিশোর প্লেব্যাক ও স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। আলম খানের সুর-সংগীতে গেয়েছেন প্রয়াত সব্যসাচী লেখক ও কবি সৈয়দ শামসুল হকের লেখা শেষ তিনটি গান। এন্ড্রু কিশোর দেশের প্রখ্যাত সুরকারদের মধ্যে বেশি গান করেছেন আলম খান, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, আলাউদ্দিন আলীর সঙ্গে। এ ছাড়া গান করেছেন শেখ সাদী খান, ইমন সাহা, আলী আকরাম শুভসহ অনেকের সঙ্গে। ভারতের প্রখ্যাত সুরকার আর ডি বর্মণের সুরেও গান গেয়েছেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতাতেও প্লেব্যাকে বেশ কয়েকটি গান করেছেন তিনি।

মাঝে কিছুদিন ব্যবসাও করেছিলেন। এন্ড্রু কিশোর ১৯৮৭ সালে আহমাদ ইউসুফ, আনোয়ার হোসেন বুলু, ডলি জহুর প্রমুখের সঙ্গে টিভি নাটক, বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য প্রযোজনার জন্য ‘প্রবাহ’ নামে একটি বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠান শুরু করেন।

এন্ড্রু কিশোর । ছবি: প্রথম আলোএন্ড্রু কিশোর । ছবি: প্রথম আলো

এন্ড্রু কিশোরের সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘জীবনের গল্প/ আছে বাকি অল্প’, ‘হায় রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যিখানে’, ‘তুমি যেখানে/ আমি সেখানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেব না তোমার তুলনা’, ‘বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে’, ‘তুমি আমার জীবন/ আমি তোমার জীবন’, ‘ভালো আছি ভালো থেকো’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘ভালোবেসে গেলাম শুধু ভালোবাসা পেলাম না’, ‘তুমি আমার কত চেনা’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘তোমায় দেখলে মনে হয়’,‘এইখানে দুইজনে নির্জনে’সহ অনেক গান। জীবনের বেশির ভাগ সময়ে মূলত চলচ্চিত্রে গান করেই কাটিয়েছেন। চলচ্চিত্রে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে অডিও বাজারে খুব একটা অ্যালবাম করেননি। চলচ্চিত্রের বাইরে এসে প্রথম দিকে তিনি ‘ইত্যাদি’তে গান করেন ‘পদ্মপাতার পানি নয়’, যা বেশ জনপ্রিয়তা পায়। পরবর্তীকালে বেশ কয়েকবার ‘ইত্যাদি’তে এসেছেন।

এন্ড্রু কিশোরের এক ছেলে ও এক মেয়ে। তাঁরা দুজনেই অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। মেয়ে মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞা সিডনিতে গ্রাফিক ডিজাইন ও ছেলে জে এন্ড্রু সপ্তক মেলবোর্নে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়াশোনা করছেন।

কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, এন্ড্রু কিশোর তাঁর গানের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

Sunday, July 5, 2020

লাদাখে আরও সেনা মোতায়েন ভারতের

গত ১৬ জুন সীমান্তবর্তী গালওয়ান উপত্যকায় চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এখন পর্যন্ত পূর্ব লাদাখে চার ডিভিশন সেনা মোতায়েন করল নয়াদিল্লি। ছবি: রয়টার্স

ভারতের সঙ্গে প্রকৃত সীমান্তরেখায় (এলএসি) চীন সেনা উপস্থিতি বাড়িয়ে চলার জবাবে এবার ভারত উত্তেজনাপূর্ণ লাদাখে আরেক ডিভিশন সেনা মোতায়েন করেছে। সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ভীষণ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলার মধ্যে এই দুই প্রতিবেশী পাল্টাপাল্টি এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করল

গত ১৬ জুন সীমান্তবর্তী গালওয়ান উপত্যকায় চীন ভারতের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এখন পর্যন্ত পূর্ব লাদাখে চার ডিভিশন সেনা মোতায়েন করল নয়াদিল্লি

ওই সংঘর্ষের আগে গত মে মাসে পূর্ব লাদাখে ভারতের মাত্র এক ডিভিশন সেনার উপস্থিতি ছিল। তবে পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়ায় সেখানে ভারত এখন সর্ববৃহৎ সেনা উপস্থিতি ঘটাচ্ছে। ১৫ থেকে ২০ হাজার সেনার সমন্বয়ে একটি ডিভিশন গঠিত হয়ে থাকে

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে ভারতের গণমাধ্যম জি নিউজ জানায়, নতুন এই ডিভিশনকে উত্তর প্রদেশ থেকে লাদাখের পূর্বাঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এই ডিভিশনের গোলন্দাজ বাহিনীও লাদাখে পৌঁছাবে

এর মাত্র এক দিন আগেই গত শুক্রবার সবার অলক্ষ্যে হঠাৎ লাদাখে গিয়ে চীনের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই দিন সকালে লাদাখের রাজধানী লেহ নেমে কিছু সময়ের মধ্যে ফরওয়ার্ড ঘাঁটি নিমুতে গিয়ে তিনি সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কোনো ঝুঁকিপূর্ণ অংশ থেকে ভারত এর আগে মোতায়েন করা তার সেনাদের সরিয়ে নিতে আগ্রহী নয়। অবস্থায় চীনও রেখা বরাবর নিজেদের সৈন্য সমাবেশ ঘটাচ্ছে। নিয়ে দুদেশের মধ্যে শুরু হয়েছে উত্তেজনা

চীনের সঙ্গে লাদাখের দীর্ঘ ৮৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত, যার শুরু কারাকোরাম গিরিপথ দিয়ে। শেষ হয়েছে দক্ষিণ লাদাখের চুমুরে গিয়ে। সীমান্তের এই অংশের বিভিন্ন এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে চীনা সেনাদের অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়

মে মাসের শুরুতে চীনের সঙ্গে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেওয়ার পরপরই লাদাখে উত্তর প্রদেশ হিমাচল প্রদেশ থেকে দুটি পার্বত্য সেনা ডিভিশন মোতায়েন করে ভারত। পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি ভালোভাবে রপ্ত করার পর এই ডিভিশন দুটির সেনাদের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে। এরপর দুই মাস গেলেও লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চীন ভারতের মধ্যে উত্তেজনা কমেনি। বরং এখানে চীন সেনা, ট্যাংক সশস্ত্র যান মোতায়েন করে চলেছে

 

 

আসন্ন ঈদে যেকোনো মূল্যে ভিড় এড়াতে হবে: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

সরকার একই সঙ্গে তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, গত ঈদে মানুষের অবাধ চলাচল, ভিড় সমাবেশে অংশগ্রহণ করোনা সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাই আসন্ন ঈদে এই সমাগম ভিড় যেকোনো মূল্যে এড়াতে হবে। নিজেদের বাঁচার স্বার্থেই এটি করতে হবে

আজ রোববার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

মন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধ অসহায় মানুষের সুরক্ষা, বন্যাকবলিত ১২টি জেলার মানুষের সুরক্ষা এবং আসন্ন ঈদে মানুষের সমাগম তথা ভিড় এড়ানোর তিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকারকে এগোতে হচ্ছে

মহামারি করোনার কারণে দেশে উন্নয়নকাজে কিছুটা বাধা এলেও এরই মধ্যে বিভিন্ন চলমান মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি সঞ্চার হয়েছে বলে জানান সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শত প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল রুট-, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নমুখী সরকার। জনগণের জীবনমান উন্নয়ন সামাজিক নিরাপত্তায় চলমান উন্নয়নপ্রবাহ ধরে রেখেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সচেষ্ট আছে বর্তমান সরকার। বছরের পর বছর নানান দুর্যোগ মোকাবিলা করেই আজকের উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। সংকটে নেতৃত্ব দিয়ে জনগণের দৃঢ় আস্থার অপর নাম শেখ হাসিনা।

সরকার নাকি কারাগার ভর্তি করে ফেলেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির কোন শীর্ষ নেতা বা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জেলে গেছেন? ত্রাণ চুরিসহ নানা অপরাধে যাঁরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন, তাঁদের পরিচয়, তাঁরা অপরাধী। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন-আদালত ব্যবস্থা কি নেবে না?’

চিহ্নিত অপরাধী ছাড়া বিএনপির উল্লেখযোগ্য কোন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তা মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চেয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিদিন অশ্লীল ভাষায় সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করলেও সরকার সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে


সু্ত্র : www.prothomalo.com



করোনা নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন কিছু ছিল না: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন ছিল না। সরকারের অদক্ষতা অযোগ্যতার কারণে আজ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁর অভিযোগ, সরকার দুর্নীতি করে স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে একেবারে ভেঙে দিয়েছে। এখানে মানুষ কোনো স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না

আজ রোববার বিকেলে উত্তরার বাসা থেকে অনলাইনে সিলেটে সাউথ সুরমা ন্যাশনালিস্ট ফোরামের এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, হাসপাতালে গেলে অক্সিজেনের অভাব, ভেন্টিলেটর কথা বাদই দেন। গ্লাভস বলুন, মাস্ক বলুন, স্যানিটাইজার বলুন, সুরক্ষাসামগ্রী বলুনপ্রতিটা জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিরুদ্ধে অদক্ষতার অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভিয়েতনাম নিয়ন্ত্রণ করেছে, কিউবা নিয়ন্ত্রণ করেছে, চীনে এত বড় আক্রমণের পরে তারাও নিয়ন্ত্রণ করেছে, নিউজিল্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করেছে। অর্থাৎ সরকারের যদি সদিচ্ছা থাকে, তাহলে সে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা ইত্যাদি কাজ করা খুব কঠিন ছিল না

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মনে করি এখানে যে ভুলগুলো হয়েছে, সেগুলো সরকারের সম্পূর্ণ অজ্ঞতা, অদক্ষতা, অযোগ্যতার কারণে আজ কোবিড সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বারবার ভুল সিদ্ধান্তের ফলে, একবার ঢাকা থেকে চলে যাওয়া আবার ঢাকায় নিয়ে আসা, আবার ঢাকায় কিছু অঞ্চল লকডাউন করা। এখন আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি যে কোরবানির ঈদ আসছে, এই ঈদে আবার কীভাবে ব্যাপক সামাজিক সংক্রমণ হয়।

বিএনপির মহাসচিব নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকার কী করছে না করছে, এটা দেখার দরকার নেই। তারা যা করছে করুক। আপনারা যে উদ্যোগ নিয়েছেন, এই উদ্যোগগুলোকে সফল করার চেষ্টা করুন।তিনি আরও বলেন, ‘স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার একদিকে আমাদের ওপর অত্যাচার করছে, নির্যাতন করছে। আমাদের কাজ করতে দেয় না। তারপরেও বিএনপি কিন্তু মাথা নত করে বসে যায়নি। লড়াই করছে, সংগ্রাম করছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বিএনপি সেই ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়াবে এবং জয়ী হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সামনে আসবেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের সঙ্গে আসবেন, এসে গণতন্ত্রকে আমরা প্রতিষ্ঠা করব এবং সব ধরনের সংকটকে মোকাবিলা করে আমরা জয়ী হব, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

পরে বিএনপির মহাসচিব সিলেটের ন্যাশনালিস্ট ফোরামের উদ্যোগে করোনার চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস স্বাস্থ্যসুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সিলেট বিএনপির প্রয়াত নেতা এম হকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন

সাউথ ন্যাশনালিস্ট ফোরামের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সদস্যসচিব কামাল হাসানের পরিচালনায় অনলাইন আলোচনায় দলের কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সাখাওয়াত হাসান, কলিম উদ্দিন আহমেদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র বিএনপির নেতা আরিফুল হক চৌধুরী প্রমুখ

 

লাদাখের বিভিন্ন স্থান থেকেও পিছাচ্ছে ভারত–চীন

শুধু গলওয়ান উপত্যকাই নয়, চীন ও ভারত মুখোমুখি অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লাদাখের অন্যত্রও। দুই দিনের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শেষ ...